আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঠেকায় পড়ে জাপায়!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
বরাবরই নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘরাণার লোক বলে জাহির করেন সেলিম ওসমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চেষ্টা চালিয়েছিলেন নৌকার টিকেট পেতে। এজন্য অনেক দৌড় ঝাপ এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বন্দরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করেছিলেন। তবে সব চেষ্টা বিফল হলে শেষতক তিনি লাঙ্গলের ছায়ায়ই যান। বিশ্লেষকদের মতে, অনেকটা ঠেকায় পড়ে জাতীয় পার্টিতে গেছেন সেলিম ওসমান।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বন্দরে তিনটি স্কুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকে কেন প্রধান অতিথি করলো তা নিয়ে কৌতুহল ছিলো সর্বত্র। বিশ্লেষকদের মতে, স্কুল উদ্বোধনের বিষয় হলেও মূল উপলক্ষ্য ছিলো একাদশ সংসদ নির্বাচন। তাদের মতে, ২০১৪ সালের ২৬ জুন উপ নির্বাচনে সেলিম ওসমান সহজে পার পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা দলের নির্দেশে তার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছে আর বিএনপির কতিপয় নেতা নিজেদের লাভে তার পাশে ছিলেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের অনেক আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গলের বিরোধীতায় নামেন। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছিলো সেলিম ওসমানকে। তাই তিনি ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার মতো স্থানীয় নেতাদের চিন্তা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে স্কুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনেন। সূত্র মতে, এদিন তিনি নানাভাবে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। তবে বড় ভাই নাসিম ওসমানের মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে কান্নার সময়ে সেলিম ওসমানকে সান্তনা ছাড়া ঝানু রাজনীতিক ওবায়দুল কাদের আর কোন কথা দেননি। সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডেও চেষ্টা চালিয়েছিলেন সেলিম ওসমান। পরে ‘না’ সূচক জবাব এলে উপায় না পেয়ে জাতীয় পার্টির দিকেই ঝুঁকেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের সবুজ সংকেত না পেয়েই তিনি জাতীয় পাটির লাঙ্গল নিয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টির স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী দার উপর নাখোশ রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা দুবর্ল করে দিয়েছে সেলিম ওসমান।